ধর্মীয় সভ্যতা থেকে শুরু করে বহুজাতি সংস্কৃতিআগ্নেয়গিরির দ্বীপাঞ্চল সহ গ্রীষ্মমন্ডলীয় স্বর্গএসব কিছু একসাথে পাওয়া যাবে ইন্দোনেশিয়ার দর্শনীয় স্থানগুলোতে। বিশ্বের এই ৪র্থ জনবহুল দেশটি এর দিগন্ত জোড়া সৈকত ও পাহাড়ের ল্যান্ডস্কেপ বিশ্ব পরিব্রাজকদের বিশালতা ও বিচিত্রতা অন্বেষণের খোরাক জোগায়। জুলাই থেকে আগস্টের শুষ্ক মৌসুম ইন্দোনেশিয়ার ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। এ সময় ২৫ থেকে ২৭ সেলসিয়াস ডিগ্রি তাপমাত্রা হাল্কা বৃষ্টিপাতের সাথে আরামপ্রদ অনুভূতি দেবে। এর কোন কোন দর্শনীয় স্থান সংস্পর্শ পেয়েছে পাপুয়া নিউ গিনিরকোনটা মিশেছে মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের সাথে।

আপনি যদি একজন পর্যটক হিসেবে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনাকে ইন্দোনেশিয়া ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে না। বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ইন্দোনেশিয়াতে অন এরাইভাল ভিসার ব্যবস্থা আছে।

ইন্দোনেশিয়ার ভিসার প্রকারভেদ

আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং সময়কালের উপর ভিত্তি করে ইন্দোনেশিয়ার ভিসাকে নিম্নলিখিত প্রকারে ভাগ করা হয়েছে:

  • ট্যুরিস্ট ভিসা (দূতাবাস এবং অন-এরাইভাল)
  • মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা
  • বিজনেস ভিসা
  • লিমিটেড স্টে ভিসা

কিভাবে ইন্দোনেশিয়া ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন?

আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে একটি ইন্দোনেশিয়া ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন:

  • ইন্দোনেশিয়ার বিমানবন্দরে পৌঁছানর সময় (অন-এরাইভাল)
  • ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস থেকে।

ইন্দোনেশিয়া ভিসা অন এরাইভাল ট্যুরিস্ট ভিসায় প্রয়োজনীয় দলিলপত্র: 

১ । পাসপোর্ট , যার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাসের বেশি হতে হবে এবং পাসপোর্টে অন্তত ২ টি ফাঁকা পাতা থাকতে হবে।
২। পাসপোর্ট-আকারের ছবি, ইন্দোনেশিয়ার ভিসার ছবির প্রয়োজনীয়তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। (ধরন: 3 সেমি x 4 সেমি বা 4 সেমি x 6 সেমি , সাদা বা লাল পটভূমি (দূতাবাস/কনস্যুলেটের উপর নির্ভর করে)
 
৩।  ইন্দোনেশিয়া ভিসা আবেদনপত্র।
৪। কনফার্ম ফিরতি ফ্লাইটের টিকিট
৫। হোটেল রিজার্ভেশনের প্রমাণপত্র।

৬। বিগত ৩ মাসের ব্যাংক স্ট্যট্মেন্ট এবং আবেদনের সময় মিনিমাম ২-৩ লাখ টাকা ব্যাংকে থাকতে হবে এবং ব্যাংক সল্ভেন্সির প্রমান 
৭। ইন্দোনেশিয়াতে আমন্ত্রণ পত্র।
৮। একটি কভার লেটার যার মধ্যে ভ্রমণের উদ্দেশ্য যথাযথ ভাবে উল্লেখ থাকবে। এখানে ভিসার আবেদনকারী যদি একজন চাকরীজীবি হন তবে অবশ্যই তার কম্পনিকে তার জন্য একটি লেটার হেড দিতে হবে। সেল্ফ এম্প্লয়েড বা স্বনির্ভর ভিসা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ কাগজেই লেটার হেড দেয়া যাবে।

৯। ইন্দোনেশিয়া ভিসা ফি প্রদান।

১০। কোভিড-১৯ এর সার্টিফিকেট। অবশ্যই কমপক্ষে ২ ডোস টিকা নেয়া থাকতে হবে এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল মেনে চলার জন্য বিবৃতি পত্র।

১১। ইন্দোনেশিয়ার ভিসা ফি পরিশোধ করার রিসিপ্ট।

১২। ট্রাভেল ইন্সুরেন্সের কপি।

১৩। শিশুদের জন্য সাধারণত জম্ম নিবন্ধন চাওয়া হয়ে থাকে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তাদের স্কুল-কলেজ বা ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ড।

 

বি:দ্র: উপরে উল্লেখিত দলিপত্র ছাড়াও কন্সুলার অফিসার আরও অতিরিক্ত কাগজপত্র চাইতে পারে, যা পুরোপুরি তাদের চাহিদার উপর নির্ভর করে।

ভিসার খরচ কোন পূর্ব নোটিশ ছাড়াই বেড়ে যেতে পারে।

আপনি যদি খুব সহজেই ইন্দোনেশিয়ার ভিসা করতে চান, তবে ট্যুরন্তের সহায়তা নিতে পারেন। ট্যুরন্তের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার ভিসা প্রসেসিং করলে আপনি যে সবিধাগুলো পাবেন তার মধ্যে অন্যতম হল:

  • অভিজ্ঞ লোক দ্বারা দ্রুত ভিসা প্রসেসিং
  • বাসায় বসে ভিসা প্রসেসিং এর সুবধা
  • এবং সাধ্যের মধ্যে ঝামেলামুক্ত ভাবে ভিসা প্রসেসিং এর সুযোগ।

যদি ট্যুরন্তের মাধ্যমে আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ার ভিসা প্রসেসিং করেন, তবে আপনার খরচ পরবে ১৭৫০০/-

ভিসা প্রসেসিং বা এ সংক্রান্ত ব্যাপারের জন্য ফোন করুন :  01877724798, 01877724796 , 01897984004 নাম্বারে।

ভিসা প্রসেসিং সরাসরি করতে চাইলে আমাদে ঠিকানা: আমাদের অফিস: স্যুট – 204, 64-68, ইস্টার্ন কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, কমলাপুর, মতিঝিল – ১০০০