বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ভ্রমনের উদ্দেশ্যে প্রচুর পরিমানে পর্যটক পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাচ্ছে। ভারত ভ্রমনে পর্যটকের সংখ্যা প্রতি বছরই বেড়েই চলেছে। ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই এক একটি দর্শনীয় স্থান। আর তাই সেই দর্শনীয় স্থান গুলো ভ্রমনের জন্য প্রতি বছর প্রচুর পর্যটকের হয় সেখানে। মেঘালয়, দার্জিলিং, সিকিম, কাশ্মীর, মানালী, কলকাতা, আজমীর শরীফ, দিল্লী, রাজস্থান, আগ্রা, চেন্নাই সহ আরও অনেক প্রদেশ রয়েছে দেখানে পর্যটকদের ভীড় থাকে। একটু সময় পেলেই ছুটে যায় এসব জায়গায়। চাকুরীজিবি, ব্যবাসায়ী, গৃহিনী, ছাত্র, শিক্ষক প্রায় সকল পেশার মানুষই যারা ভ্রমন করতে ভালোবাসে সুযোগ পেলেই ছুটে চলে। এসব দর্শনীয় স্থান গুলো যেনো তাঁদের কে ডাকে। তাইতো পরিবার, বন্ধু বান্ধব মিলে ছুটে চলে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে।
প্রতি বছরই পর্যটকদের ভারত ভ্রমনের জন্য ভিসা নিতে হয়। ভারতে ভ্রমনের জন্য ভিসা পেতে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের জন্য কিছু নীতিমালা রয়েছে। বেশির ভাগ পর্যটকরা ভিসা পেতে বা ভিসা আবেদন ফরম পূরনের ক্ষেত্রে এসব নীতিমালা না জেনে যান না। মেইন ভিসার জন্য আবেদন করেন ফলে তাঁদের ভিসা পেতে বা তাঁদের গন্তব্যে যেতে বেশ সমস্যা হয়। অনেক সময় পর্যটকরা তাঁদের পছন্দনীয় রাজ্য যেতে পারছেন না।
তাহলে চলুন যেনে নেই গুরুত্বপূর্ন একটি কারন যার ফলে প্রতি বছর অনেক পর্যটক তাঁদের গন্তব্য পৌছাতে না পেরে মন খারাপ হচ্ছে।
আজকে কথা বলবো স্থলবন্দর সংযোজন বা পোর্ট অ্যাড সম্পর্কে।
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা ভারতে এক একটি প্রদেশে এক এক ধরনের নিয়ম রয়েছে। এবং প্রতিটি প্রদেশে প্রবেশের জন্য অনুমোতির প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশের সীমানায় ১৫টির ও বেশি স্থল বন্দর রয়েছে। তার মধ্যে পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন ৫-৬ টি বন্দর।
ভারতীয় হাই কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ভিসা আবেদনের সময় যে স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করবেন সেই স্থলবন্দর ভিসা আবেদনের সাথে উল্লেখ করে দিতে হবে। অন্যথায় স্থলবন্দর ব্যব্হার করে ভারতে প্রবেশ করা যাবে না।
বাংলাদেশের পর্যটকরা ভিসা হাতে পাবার পর যে সমস্যায় পরেন তা হল সঠিক স্থলবন্দর ভিসায় উল্লেখ না থাকায় পর্যটকরা তাদের গন্তব্যে যেতে পারেন না। প্রতি বছর এই স্থলবন্দর বা পোর্ট এর সমস্যা নিয়ে প্রচুর পর্যটকদের বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
করনীয়
একটু সচেতন হলেই এই সমস্যার অবসান হতে পারে। পর্যটকদের ভারতে ভ্রমনের জন্য ভিসা আবেদনের সময় কিছু নির্দেশনা মানলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
প্রথমত, ভিসা আবেদনের পূর্বে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি ভারতের কোন প্রদেশে ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন। আপনার সিদ্ধান্ত বা আপনার গন্তব্য নির্ধারন করে তারপর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনের সময় অবশ্যই আপনার কাঙ্ক্ষিত বন্দর উল্লেখ করে দিবেন।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে যদি স্থলবন্দরে ভুল হয়ে যায় বা কোন কারনে স্থলবন্দর পরিবর্তন করতে হয় তাহলে করনীয় কি হবে?
স্থলবন্দর সংযোজন বা পোর্ট অ্যাড এর জন্য আপনাকে প্রথমত যেটা করতে হবে তা হল ভারতীয় হাই কমিশন কতৃক নির্ধারিত পোর্ট অ্যাড ফরম নিয়ে ফিলাপ করে জমা দিতে হবে। সাথে জমা দিতে হবে সদ্য পাওয়া ভিসা ও পাসর্পোট।
স্থলবন্দর বা পোর্ট অ্যাড করার জন্য নির্ধারিত ফি ৩০০টাকা।
স্থলবন্দর সংযোজন ফর্মটি নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
https://drive.google.com/file/d/199vgGYGuXJZmroXaAhTGSeasCAoN5Gb6/view?usp=sharing
যদি ভিসা নিয়ে আপনাদের কোন কিছু অস্পষ্ট লাগে তাহলে, ট্যুরন্তের মাধ্যমে ঝামেলামুক্তভাবে ও দ্রুত ভিসা সংক্রান্ত কাজগুলা করে ফেলতে পারেন।
শুধু তাই নয় ট্যুরন্তে থাকছে ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং যার ফি মাত্র ১৩৫০ টাকা (ভিসা চার্জসহ)।
কেন ট্যুরন্ত কে দিয়ে আপনার ভিসা প্রসেসিং করাবেন:
- বিনা ভোগান্তিতে ভিসা প্রসেসিং করে দিবে।
- ট্যুরন্ততে অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা আপনার ভিসা প্রসেসিং করানো হবে এবং তা সাধ্যের মধ্যে হবে।
- আপনারা বাসায় থেকে আরামে ভিসার যাবতীয় কাজ ট্যুরন্তকে দিয়ে করাতে পারবেন।
পরিশেষে, ভারত ভ্রমণের সুযোগ তথা ভিসা প্রতিবছর খুব অল্প সংখ্যক লোকই পায়। তাই ভিসার ব্যাপারে কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
Office Address: 204 (Lift-2), Eastern Commercial Complex, Kamlapur, Dhaka-1000.
Contact: 01877724796, 01877724798, 01511082947
নোট: ভিসা ফাইল রেডি হয়ে গেলে নিজ নিজ ফাইল সরাসরি ভিসা সেন্টারে গিয়ে জমা দেবেন। মনে রাখবেন একজনের ফাইল আরেকজন জমা দিতে পারে না।
Comment (0)