১. সিম ও ইন্টারনেট 

থাইল্যান্ডে এসে AIS, True বা DTAC-এর সিম কিনুন। আপনি আইফোন ইউজার হলে eSIM ব্যবহার করতে পারেন। ৫জি ইন্টারনেট দ্রুত ও সাশ্রয়ী ক্যাফে, হোটেল, শপিং মল সবখানেই পাওয়া যায়। পাবলিক হোটেল WiFi-তে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ না করাই ভালো। অনেকে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ব্যবহার করেন—তাতে তেমন সমস্যা নেই।
২. নগদ ও কার্ড 

থাইল্যান্ডে আসার আগে অবশ্যই ডলার নিয়ে আসুন রেট ভালো পাবেন। ভুলেও বাংলা টাকা আনবেন না। ATM ব্যবহারে প্রতি বার চার্জ ২২০–২৫০ বাথ। অন্তত দুটি ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড এবং কিছু জরুরি নগদ সঙ্গে রাখুন।
৩. থাকার ব্যবস্থা 

যদি আপনার পছন্দ ৩–৫ স্টার হোটেল হয়, তাহলে আগে থেকেই অনলাইন বুকিং করে নিন। কারণ হোটেলে ওয়াক-ইন রেট সাধারণত বেশি। বাজেট ট্রাভেল করলে স্থানীয় গেস্ট হাউজ ঘুরে দেখে দরদাম করে নিতে পারেন। হাই সিজনে অবশ্যই অগ্রিম বুকিং করে আসবেন তখন রুম পাওয়া কঠিন।
৪. কাপড়-চোপড় 

অতিরিক্ত কাপড়না নিয়ে আশাই ভালো। থাইল্যান্ড গরম থাকে বেশি বিশেষ করে নর্থ ছাড়া অন্যান্য জায়গায়। হালকা ও আরামদায়ক পোশাক নিয়ে আসুন।
৫. লাগেজ 

হালকা হ্যান্ড লাগেজ আনুন, চাকা যুক্ত লাগেজে সুবিধা হবে। ব্যাকপ্যাক গরম লাগায় অস্বস্তিকর হতে পারে। যাত্রার শেষদিকে শপিং বেশি হলে এখানে থেকেই সস্তায় লাগেজ কিনে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, ডোমেস্টিক ফ্লাইটে ওয়েট লিমিট থাকে।
৬. খাবার 

থাই স্ট্রিট ফুড সাধারণত নিরাপদ ও সুস্বাদু, তবে হালাল কিনা দেখে নিন। হোটেল বাফেট বা ফাস্টফুডে একটু বেশি সতর্ক থাকুন।
বাংলা খাবার তুলনা মূলক দামি কারণ এটা বিদেশি খাবার হিসেবে ধরা হয়কারণ তাদের খরচ বেশী ।
রেস্টুরেন্ট সাজেশন:
ব্যাংকক: মনিকা কিচেন, মা কিচেন, লাকি কিচেন
পাতায়া: মাহি রেস্টুরেন্ট, লিটন রেস্টুরেন্ট, ইন্ডিয়ান কারি হাট
ফুকেট: Dhaka Spicy Phuket
ক্রাবি: রাঁধুনি রেস্টুরেন্ট
৭. নিরাপত্তা 

থাইল্যান্ড ১০০% নিরাপদ, কিন্তু একদম নিশ্চিন্ত না হওয়াই ভালো। স্ক্যামার ও ট্যুরিস্ট ভুয়া গাইড থেকে সতর্ক থাকুন।
৮. পাতায়া 

পাতায়া পরিবার, দম্পতি ও একা ভ্রমণকারীদের জন্য নিরাপদ, তবে পারিবারিক ভ্রমণের জন্য ফ্যামিলি ফ্রেন্ডলি জায়গা নির্বাচন করাই ভালো। যদি ফ্যামিলি ট্যুরে আসেন তাহলে আপনার জন্য পারফেক্ট হবে ফুকেট, ক্রাবি।
৯. গাড়ি চালানো 

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স সাথে নিয়ে আসুন। গাড়ি বা মোটরবাইক রেন্ট করলে লাইসেন্স না থাকলে ৫০০–৫০০০ বাথ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। রং পার্কিং এবং হেলমেট থাকলেই অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে। সব থেকে ভালো হয় সিটি ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে এক্সপ্লোর করা। দ্বীপ অঞ্চলে মোটরবাইক দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।
১০. পরিবহন 

পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ভালো ও সাশ্রয়ী। ব্যাংককে মেট্রো ব্যবহার করুন। ট্যাক্সি বা মিনিভ্যানে গেলে ড্রাইভার যদি গতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
১১. ট্যাক্সি ও টুকটুক 

ব্যাংককে মিটারে ট্যাক্সি নিন বা Grab ব্যবহার করুন। টুকটুক মূলত ঘুরে দেখার জন্য সাশ্রয়ের জন্য নয়। “আপনার গন্তব্য বন্ধ” স্ক্যাম এড়িয়ে চলুন।
১২. স্বাস্থ্য 

প্রয়োজনীয় ওষুধ বাংলাদেশ থেকেই আনুন। ট্যুরিস্ট এরিয়ায় ওষুধের দাম অনেক বেশি।
১৩. পানি 

বোতলজাত পানি পান করুন। ট্যাপ পানি এড়িয়ে চলুন। বরফ সাধারণত নিরাপদ।
১৪. ভদ্রতা ও পোশাক 

শালীন পোশাক পরুন। থাইল্যান্ডে রাজপরিবার নিয়ে কোনো মন্তব্য বা রসিকতা আইনত দণ্ডনীয় জেল পর্যন্ত হতে পারে।
১৫. ট্যুর প্ল্যান 

ভ্রমণের আগে প্ল্যান ও বুকিং করে রাখলে সময় ও অর্থ বাঁচে। চাইলে আমাদের Akerio Tours (Thailand) থেকে B2B সার্ভিস নিতে পারেন।
১৬. মোবাইল অ্যাপ 

Grab, Bolt – ট্রান্সপোর্ট
Google Maps – লোকেশন
Grab, Lineman – খাবার ডেলিভারি
১৭. কেনাকাটা 

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে 7-Eleven বা Tops Daily সবচেয়ে ভালো। শপিংয়ের জন্য ব্যাংককে একদিন হাতে রাখুন।
থাইল্যান্ড ভ্রমণে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জানা থাকলে আপনার ভ্রমণ হবে আরও আনন্দদায়ক ও ঝামেলামুক্ত।
1. স্থানীয়দের সাথে ভদ্র ও সৌজন্যমূলক ব্যবহার করুন — আপনি শুধু একজন পর্যটক নন, বরং নিজ দেশের প্রতিনিধি।
2. অনৈতিক বা বিতর্কিত কাজ থেকে বিরত থাকুন—যেমন: প্রকাশ্যে মাতলামি, পরিবেশ নোংরা করা, বন্যপ্রাণীর প্রতি নির্দয়তা ইত্যাদি।
3. যারা আপনাকে ভালো সার্ভিস দেবেন (যেমন: হোটেল স্টাফ, ড্রাইভার, গাইড), সুযোগমতো তাদের বকশিশ দিন—এটি থাইল্যান্ডে সম্মানজনক আচরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
থাইল্যান্ড ভ্রমণে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জানা থাকলে আপনার ভ্রমণ হবে আরও আনন্দদায়ক ও ঝামেলামুক্ত।
1. স্থানীয়দের সাথে ভদ্র ও সৌজন্যমূলক ব্যবহার করুন — আপনি শুধু একজন পর্যটক নন, বরং নিজ দেশের প্রতিনিধি।
2. অনৈতিক বা বিতর্কিত কাজ থেকে বিরত থাকুন—যেমন: প্রকাশ্যে মাতলামি, পরিবেশ নোংরা করা, বন্যপ্রাণীর প্রতি নির্দয়তা ইত্যাদি।
3. যারা আপনাকে ভালো সার্ভিস দেবেন (যেমন: হোটেল স্টাফ, ড্রাইভার, গাইড), সুযোগমতো তাদের বকশিশ দিন—এটি থাইল্যান্ডে সম্মানজনক আচরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

Comment (0)