from 0 review
3days 4 nights
Specific Tour
1 person
English
লাংলোক ঝর্ণা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাঙামাটি পার্বত্য অঞ্চলের এক মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক ঝর্ণা। পাহাড়ের বুক চিরে নেমে আসা স্বচ্ছ ঠান্ডা পানির ধারা, চারপাশে সবুজ পাহাড় ও ঘন বনজঙ্গল—সব মিলে এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক অপূর্ব গন্তব্য। বর্ষাকালে ঝর্ণার সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়, তখন এর পানির প্রবাহ হয় প্রচণ্ড ও মনোরম। অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ভ্রমণকারীদের জন্য লাংলোক ঝর্ণা শুধু নয়নাভিরাম দৃশ্যই নয়, বরং ট্রেকিং ও প্রকৃতির সান্নিধ্যের অসাধারণ অভিজ্ঞতাও এনে দেয়
ঢাকা থেকে রাতের নন-এসি বাসে যাত্রা।
ভোরের আলোয় পাহাড়ি বিশুদ্ধ হাওয়া শ্বাসে ভরে নাস্তা সেরে নেবো। তারপর চান্দের গাড়িতে আলিকদম হয়ে পৌঁছে যাবো ওয়াইজংশনে। এখান থেকেই শুরু আমাদের আসল অভিযান — প্রায় আড়াই ঘণ্টা খাড়া পথে নামতে নামতে দেখা মিলবে অপূর্ব পাহাড়ি দৃশ্যের।
নিচে নামলেই তিন্দু, সেখান থেকে নৌকায় ভেসে চলা বাঘেরমুখ পর্যন্ত। বাঘেরমুখে নেমে আবার শুরু হবে পাহাড়ি পথে হাঁটা, পা রাখলেই যেন অন্য এক জগতে প্রবেশ।
রাত ৮/৯ টায় পৌঁছে যাবো ছাউদাং পাড়ায় — রাতের আড্ডা, পাহাড়ি নীরবতা আর তারাভরা আকাশের নিচে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা এককথায় অবিস্মরণীয়।
সকালের নাস্তা শেষ করেই রওনা দেবো রয়নদক ঝর্ণার পথে। প্রায় ৪–৫ ঘণ্টার ট্রেকিং — পথজুড়ে থাকবে কুলুকুলু পাহাড়ি ঝিরি আর বাতাশে দোল খাওয়া জুম, একদম সবুজের সমারোহ আর দূরের ঝর্ণার গর্জন।
বিকেলে ফিরে আবার ছাউদাং পাড়ার শান্ত পরিবেশে সন্ধ্যা কাটানো, আরেকটি স্মৃতিময় রাত আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
ভোরের শীতল বাতাসে জাগিয়ে তুলবে শৈংগং ঝর্ণা ভ্রমণের ডাক। সকালে ঝর্ণার স্বচ্ছ ঠান্ডা পানির ধারা উপভোগ করে ফিরতি পথে লাংলুক ঝর্ণা ঘুরে দেখা।
এরপর থানচি হয়ে বান্দরবান শহরে ফেরা। পথে চিম্বুক পাহাড়ে ছোট্ট এক বিরতি — চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে উপভোগ করবো পাহাড়ের ওপর থেকে অসাধারণ দৃশ্য।
রাতের খাবার শেষে রাতের বাসে ঢাকা ফেরার যাত্রা শুরু।
ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই ঢাকা পৌঁছানো — হাতে থাকবে পাহাড়ি স্মৃতি, মন ভরে যাবে নতুন অভিজ্ঞতায়।
Leave a Reply