from 0 review
Daily Tour
Unlimited
Bengali, English
সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি, যা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিস্তৃত। এটি প্রায় ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং ১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সুন্দরবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর জটিল ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছপালা ও বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণী। এখানে রয়েছে বাঘের বাস, যার মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগারই মূল। এছাড়াও চিত্রল হরিণ, কুমির, বানর এবং ৩০০ প্রজাতির পাখি, ১২০ প্রজাতির মাছ এবং ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ বিভিন্ন প্রাণী দেখা যায়। সুন্দরবন শুধুমাত্র জীববৈচিত্র্যের জন্যই বিখ্যাত নয়, এটি উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য একটি প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে। প্রায়শই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে এই অঞ্চলের মানুষ ও সম্পদ এর অবস্থানগত কারণে সহায়তা পায়। এছাড়াও সুন্দরবন কার্বন নিঃসরণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুন্দরবন স্থানীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই অঞ্চলের মানুষদের জীবিকার প্রধান উৎস হলো মাছ ধরা, মধু সংগ্রহ এবং কাঠ সংগ্রহ। সুন্দরবনের মধু বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত, যা স্থানীয় মৌয়ালদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস। এছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত সুন্দরবন।
ভ্রমণকালঃ
============
ট্রিপ সময়-কালঃ ৪ রাত ৩ দিন (৭ই নভেম্বর রাত থেকে )
ট্রিপ ধরনঃ ফুল রিলাক্স এবং এডভেঞ্চার
যারা যেতে পারবেঃ ছেলে/মেয়ে/কাপল, যেকোনো বয়সের
রাতের বাসে ঢাকা থেকে খুলনা যাত্রা।
সকালে খুলনা পৌঁছে নির্ধারিত লঞ্চে উঠে আমাদের প্রথম স্পট হারবাড়িয়া এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো । সকাল ৮:০০-৮:৩০ এর মধ্যে সকালে নাস্তা খেয়ে নিবো। লাঞ্চ করে হারবাড়িয়া প্রবেশ করবো, ১:৩০-২:০০ ঘন্টা ঘুরাঘুরি করে লঞ্চে ফিরে এসে দ্বিতীয় স্পট কটকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হবে। রাতে কটকা ফরেস্ট অফিসের পাশেই থাকবো এবং ডিনার সেরে বিশ্রামে যাবো।
এই দিনে আমরা খুব সকালে হালকা নাস্তা সাথে নিয়ে ট্রলারে ক্যানাল ক্রুজিং করে চলে যাবো জামতলী বিচের উদ্দেশ্যে। বনের ভিতর দিয়ে হেটে জামতলি বিচ হয়ে টাইগার পয়েন্ট দেখে চলে যাবো কটকা। কটকা অফিস পাড়া দেখে লঞ্চে এসে নাস্তা করবো। এরপর লাঞ্চ এর আগে অথবা পরে হিরন পয়েণ্ট দেখবো। এরপর দুবলার চর এর উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু। রাতে হবে বারবিকিউ ডিনার।
এই দিনে আমরা সকালে নাস্তা শেষ করে ক্যানেল ক্রুজিং করে করমজল দেখবো। করমজল ঘুরে আসার পর লাঞ্চ করবো। তারপর খুলনার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু। রাতের খাবার লঞ্চেই হবে। রাতের বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যাবো।
খুব সকালে ঢাকা থাকবো ইনশা-আল্লাহ।
Leave a Reply