বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশিরা আন্তঃসীমান্ত ট্রেন পরিষেবা ব্যবহার করে দার্জিলিং এবং সিকিমের গ্যাংটকের মতো ভারতীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যেতে পারবে।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “নিউ জলপাইগুড়ি ও ঢাকা হয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন আন্তঃসীমান্ত ট্রেন সার্ভিসটি দুই দেশের যাত্রীদের মধ্যে যাতায়াত সহজ করবে।”

“আমরা আশা করি এটি দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের উন্নতি করবে এবং বাণিজ্য ও পর্যটন বৃদ্ধি করবে,” তিনি যোগ করেছেন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, উদ্বোধন সফল করার একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৫১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের, ১০টি বগি সহ নন-স্টপ প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি গত বছরের ২৬ শে মার্চ, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনে কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ পরিকল্পনাটি ব্যর্থ করে দেয়।
কিন্তু এখন মিতালী এক্সপ্রেস সিডিউলে যাওয়া আসা করছে, এবং এটি হল তৃতীয় যাত্রীবাহী ট্রেনের পরিষেবা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে । মিতালী এক্সপ্রেস ছাড়া বর্তমানে মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে চলাচল করে, আর বন্ধন এক্সপ্রেস কলকাতা ও খুলনার মধ্যে চলাচল করে।
এই সার্ভিসগুলো দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে ২৯শে মে ২০২২ এ খুলে দেয়া হয়েছে।
এর আগে, ১৭ই ডিসেম্বর, বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি এবং পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের হলদিবাড়ির মধ্যে ৫৫ বছর পর পণ্য পরিবহন ট্রেনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
মিতালি এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি এবং ঢাকার মধ্যে নতুন যাত্রীবাহী এই ট্রেন পরিষেবা সেই রুট ব্যবহার করবে।
মিতালি এক্সপ্রেস চালু হওয়ায়, বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের দুটি জনপ্রিয় পর্যটন স্পট: দার্জিলিং এবং সিকিম পরিদর্শন করা সহজ আরও সহজ হয়ে গেলো।