বিমানবন্দরের প্রবেশ ও সঙ্গী নিয়ম

  • ২০২৫ সালের মাঝামাঝি থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন প্রবেশ নির্দেশিকা জারি করেছে: Departure driveway (যাত্রার দিক) ও Arrival canopy (আগমন অংশ) এলাকায় প্রতি যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই জন সঙ্গী/বিদায়কারী প্রবেশ করতে পারবে।

  • এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাত্রী চলাচল মসৃণ রাখতে, ট্রাফিক জট কমাতে ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে।

  • অর্থাৎ, আপনি যাত্রী হিসেবে হলে, যেভাবে অভিভাবক বা বন্ধুবান্ধবকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চান, সেটি সীমিত হবে দুটি জনে।

যাত্রীগমন (Departure) নির্দেশিকা

  • যাত্রার আগেই, যাত্রীদের টার্মিনাল অভ্যন্তরে নির্ধারিত বোর্ডিং গেটের দিকে সময়মতো (সাধারণভাবে ১–২ ঘণ্টা আগে) যেতে বলা হয়েছে।

  • নিরাপত্তা চেক পয়েন্টে, আপনার পোশাক—কোট, জামা, জ্যাকেট, বেল্ট, জুতা, ঘড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপ, চার্জার, পাওয়ারব্যাংক, কী ইত্যাদি—এক ট্রেতে রেখে স্ক্যানের জন্য দিতে হবে।

  • নিরাপত্তা স্ক্যান শেষে যাত্রী হোল্ডিং লাউঞ্জে অপেক্ষা করবেন এবং বোর্ডিং সময় হলে বিমান এয়ারলাইন প্রতিনিধির নির্দেশ অনুযায়ী ওঠবেন।

ব্যাগেজ, শুল্ক ও কাস্টমস নিয়ম

ঢাকা বিমানবন্দরে নিম্নলিখিত কাস্টমস ও ব্যাগেজ নীতিগুলি ২০২৫-এ প্রযোজ্য:

  • যাত্রী হিসেবে, নির্ধারিত “অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালা, ২০২৫” (Non-Tourist Passenger Baggage Rules, ২০২৫) প্রযোজ্য হবে।

  • কিছু বস্তুর উপর শুল্ক মুক্ত সুবিধা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রতি বছর ২টি পুরাতন মোবাইল ফোন ও ১টি নতুন ফোন শুল্কবিহীনভাবে আনা যেতে পারবে, তবে সীমা ছাড়ালে নিয়ম ও শুল্ক প্রযোজ্য হবে।

  • স্বর্ণ (গোল্ড) নিয়ে যথেষ্ট কঠোর নিয়ম আছে: ১১৭ গ্রাম (একটি ১০ তোলা সোনার বার) পরিমাণ পর্যন্ত শুধুমাত্র ঘোষণা করলে আনতে পারবে। এর অতিরিক্ত স্বর্ণ বা সোনার বার অবৈধ বিবেচিত হবে এবং বাজেয়াপ্ত বা মামলা হতে পারে।

  • যদি কোনও পণ্য “বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে” নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে সেটি শুল্কবৃদ্ধির আওতায় আসতে পারে।

  • ল্যাপটপ/কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যক্তিগত মালপত্র স্বাগত, তবে যৌক্তিক সীমার মধ্যে থাকতে হবে।

  • হাতে আগ্নেয়াস্ত্র বা বন্দুক আনতে সম্পূর্ণ নিষেধ—যদি অনুমোদন না পাওয়া যায়।

নিরাপত্তা ও স্ক্যানিং প্রক্রিয়া

  • বিমানবন্দরে সব যাত্রীর ব্যাগেজ স্ক্যান ও নিরাপত্তা চেক করা হবে।

  • বিশেষভাবে VIP/VVIP যাত্রীদের জন্য হ্যান্ড চেক বা অতিরিক্ত মনিটরিং হতে পারে।

  • উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগের চেষ্টা চলছে—ডি-টাচলেস (Touchless) প্রযুক্তি যাতে দ্রুত গতিতে যাত্রী প্রক্রিয়া করা যায়।

নতুন টার্মিনাল ও অবকাঠামো পরিবর্তন

  • বিমানবন্দরে নতুন ৩য় টার্মিনাল নির্মাণ করায় ২০২৫ সালের শেষভাগে তা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে মোবাইল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু বাধা ও বিলম্ব আছে।

  • এছাড়া, বিমানবন্দরের রাস্তাঘাট ও প্রবেশপথের নকশা পরিবর্তন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প চলছে।

  • বিমানবন্দর সড়কের পাশে একটি গামী পথ (pedestrian underpass / অন্ডারপাস) নির্মাণ চলছে, যা টার্মিনাল গুলোর মধ্যে ও বাইরের পথ সংযোগে সুবিধা দেবে।