চিকিৎসার জন্য ভারত দক্ষিণ এশিয়া তে যথেষ্ট জনপ্রিয় । কোভিড-১৯ এর জন্য বিগত ২ বছর ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ছিলো, ফলে চিকিৎসার জন্য সাধারণ মানুষদের ভারত ভ্রমণে যথেষ্ট  ভোগান্তিতে পরতে হতো।  কিন্ত গত ২০শে মার্চ ভারতের হাইকমিশন তা কিছুটা শিথিল করে।

মেডিকেল ভিসা কি?

চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ঘটনাকে মেডিকেল ট্যুরিজম বলা হয়, যার অর্থ চিকিৎসার কারণে মানুষ যদি কোন দেশে পর্যটক হিসেবে আসে।

যদিও ভারত বেশ অনেকদিন ধরেই একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, কিন্তু এখানকার হাসপাতালগুলি যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে তা আমেরিকান এবং ইউরোপীয় দেশেগুলোর তুলনায় কোন অংশেই কম নয়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভারতে স্বাস্থ্যসেবার খরচ অত্যন্ত সাশ্রয়ী, এই কারণেই প্রায়শই চিকিৎসার জন্য প্রতিবেশি দেশগুলা ছাড়াও আমেরিকা সহ উন্নত দেশগুলোর বেশ কিছু লোকজনকেও ভারতে আগমন করতে দেখা যায়। একই অবস্থা মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকান দেশগুলির লোকদেরও, যা মেডিকেল ভিসার আবেদনের সংখ্যার মাধ্যমে লক্ষ্য়ণীয়।

ভারতে মেডিকেল ভিসা নেয়ার কারণ:

সাশ্রয়ী – চিকিৎসা সুবিধার জন্য লোকেদের ভারতে ভ্রমণ করার প্রবণতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির মধ্যে একটি হল এটি লাভজনক এবং অত্যন্ত খরচ-সাশ্রয়ী। হ্যাঁ, আপনি কি ধরণের চিকিৎসা নিতে চান তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। ভারতে ওপেন-হার্ট সার্জারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশগুলি এবং এমনকি অনেক এশিয়ান দেশগুলির তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একইভাবে, ভারতে হাঁটু সার্জারি, কসমেটিক সার্জারি এবং অন্যান্য অনেক ধরনের চিকিৎসায় অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম খরচ হয়। ভারতে শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পও রয়েছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট কম দামে ওষুধ সরবরাহ করে। চিকিৎসা পণ্যগুলি পর্যাপ্ত থেকে বেশি পরিমাণে থাকে এবং সর্বোত্তম মানের হয়ে থাকে। যেহেতু ভারত বাংলাদেশের বাকি অংশের সাথে ভালভাবে সংযুক্ত সেহেতু ভারতে ভ্রমণ করা সহজ।

 

চিকিৎসার গুণগতমান – ভারতে প্রদত্ত চিকিৎসা এবং সুযোগ-সুবিধাগুলির মান নিয়ে অনেক লোক সন্দিহান। যাইহোক, চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারত গত ২ দশকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখেছে। প্রকৃতপক্ষে, মেডিকেল ট্যুরিজম ইনডেক্স (এমটিআই) এ  ভারত শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে রয়েছে। ২০১৬ সালে, বিশ্বের চিকিৎসা পর্যটন গন্তব্যে ভারতকে ৩ নম্বরে রেট দেওয়া হয়েছিল। ভারতে প্রদত্ত চিকিৎসা সুবিধাগুলি অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় মানের দিক থেকে কোন অংশে খারাপ না।

 

যেসকল রোগীরা অগ্রাধিকার পায়

১/হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা

২/নিউরোসার্জারি

৩/অঙ্গ প্রতিস্থাপন

৪/কিডনির ব্যাধি

৫/জন্মগত ব্যাধি

৬/চক্ষুর সংক্রান্ত ব্যাধি

৭/যৌথ প্রতিস্থাপন

৮/জিন থেরাপি

৯/প্লাস্টিক সার্জারি

১০/রেডিও থেরাপি

মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, আবেদনকারীর জেনে রাখা উচিত যে ভারতীয় হাইকমিশন আবেদনকারীর প্রবেশের কারণটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করতে পারে।

মেডিকেল ভিসার মেয়াদ সংক্রান্ত তথ্য:

সাধারণত, একটি মেডিকেল ভিসার বৈধতা সর্বাধিক ১ বছরের জন্য হয়।এই ভিসা রোগীকে একটি ক্যালেন্ডার বছরে সর্বোচ্চ ৩ বার দেশে প্রবেশের অনুমতি দেবে। এছাড়াও, এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে ভিসার জন্য কাউন্টডাউন ইস্যু করার দিন থেকে শুরু হয়, ভারতে প্রবেশের দিন থেকে নয়। রোগীর যদি ভিসা এক্সটেনশনের প্রয়োজন হয়, তাহলে  এর জন্য একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করতে হবে এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসে (FRRO) জমা দিতে হবে। এই  ক্ষেত্রে, তাদের ভিসার মেয়াদ অতিরিক্ত এক বছরের জন্য বাড়ানো হবে।


রেজিস্ট্রেশন:

‘এম ভিসা’-তে ভারতে প্রবেশকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে দেশে আসার প্রথম ১৪ দিনের মধ্যে FRRO/FRO-তে নিজেদের নিবন্ধন করতে হবে। উপমহাদেশীয় দেশগুলির জন্য এটি কিছুটা আলাদা। বাংলাদেশী নাগরিকদের ভারতে আসার ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। ভারতীয় ভিসা নিবন্ধন যথাক্রমে অনুচ্ছেদ ১১৮ এবং অনুচ্ছেদ ১০৬-এ উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন করা হয়ে থাকে।

ভিসা আরও বাড়ানো যেতে পারে, তবে এবার অনুরোধটি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হবে যারা FRRO বা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সুপারিশের উপর নির্ভর করে ভিসা প্রদান বা প্রত্যাখ্যান করবে।

 

Medical ভিসার জন্য যা যা জরুরী:

১/এনআইডি/জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকিট

২,/ সর্বশেষ ইউটিলিটি বিলের কপি

৪/ব্যাংক স্ট্যাটম্যান্ট/ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট (১ মাসের বেশি পুরোনো যাতে না হয়)

৫/ পেশাদারি সনদ।

৬/ সুনির্দিষ্ট তারিখ সহ ভারতের মেডিকেল ইনভাইটেশন লেটার

৭/ মেডিকেলের আসল  দলিল-পত্র সমূ্হ।

৮/ সর্বশেষ পাসপোর্ট কপি এবং পুরাতন সকল পাসপোর্ট সমূহ।

আরও যা যা লাগবে:

(i) মেডিকেল সার্টিফিকেট, স্বীকৃত হাসপাতাল/চিকিৎসকদের কাছ থেকে রোগীর চিকিৎসার অবস্থার বিশদ বর্ণনা;
(ii)  বিদেশে  প্রথমবারের মত চিকিৎসার ক্ষেত্রে, দেশের ডাক্তারের সুপারিশ;
(iii) ভারতে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে ভারতে উপস্থিত ডাক্তারের সুপারিশ;

(iv) হাসপাতালে ভর্তি বা দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে, আর্থিক সম্পদের প্রমাণ, নিচে নির্দেশিত হিসাবে, চাওয়া যেতে পারে:

(ক) গত ৬ মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট। (খ) ব্যাংক থেকে সল্ভেন্সি সার্টিফিকেট।

 

অতএব, ট্যুরন্তের মাধ্যমে ঝামেলামুক্তভাবে ও দ্রুত ভিসা সংক্রান্ত কাজগুলা করে ফেলতে পারেন।

মেডিক্যাল ভিসার চার্জ ১৬০০/- ( ভিসা চার্জ সহ) + এপয়েন্টমেন্ট লেটার ( যদি না থাকে )

শুধু তাই নয় র্ট্যুরন্ততে থাকছে ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং যার ফি মাত্র ১৩৫০ টাকা (ভিসা চার্জসহ)

কেন ট্যুরন্ত কে দিয়ে  আপনার ভিসা প্রসেসিং  করাবেন:

  • বিনা ভোগান্তিতে ভিসা প্রসেসিং করে দিবে।
  • ট্যুরন্ততে অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা আপনার ভিসা প্রসেসিং করানো হবে এবং তা সাধ্যের মধ্যে হবে।
  • আপনারা বাসায় থেকে আরামে ভিসার যাবতীয় কাজ  ট্যুরন্তকে দিয়ে করাতে পারবেন।

 

পরিশেষে, ভারত ভ্রমণের সুযোগ তথা ভিসা প্রতিবছর খুব অল্প সংখ্যক লোকই পায়। তাই ভিসার ব্যাপারে কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।

Office Address: 204 (Lift-2), Eastern Commercial Complex, Kamlapur, Dhaka-1000.
Contact: 01877724796, 01877724798, 01511082947

নোট: ভিসা ফাইল রেডি হয়ে গেলে নিজ নিজ ফাইল সরাসরি ভিসা সেন্টারে গিয়ে জমা দেবেন। মনে রাখবেন একজনের ফাইল আরেকজন জমা দিতে পারে না।