সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি, যা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিস্তৃত। এটি প্রায় ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং ১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সুন্দরবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর জটিল ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছপালা ও বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণী। এখানে রয়েছে বাঘের বাস, যার মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগারই মূল। এছাড়াও চিত্রল হরিণ, কুমির, বানর এবং ৩০০ প্রজাতির পাখি, ১২০ প্রজাতির মাছ এবং ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ বিভিন্ন প্রাণী দেখা যায়। সুন্দরবন শুধুমাত্র জীববৈচিত্র্যের জন্যই বিখ্যাত নয়, এটি উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য একটি প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে। প্রায়শই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে এই অঞ্চলের মানুষ ও সম্পদ এর অবস্থানগত কারণে সহায়তা পায়। এছাড়াও সুন্দরবন কার্বন নিঃসরণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুন্দরবন স্থানীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই অঞ্চলের মানুষদের জীবিকার প্রধান উৎস হলো মাছ ধরা, মধু সংগ্রহ এবং কাঠ সংগ্রহ। সুন্দরবনের মধু বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত, যা স্থানীয় মৌয়ালদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস। এছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত সুন্দরবন।
Enrique